কিভাবে এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্ট করবেন?

শেয়ার করুন:

ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই পাসপোর্ট আবেদন বাংলাদেশে চালু হয়েছে অনেকদিন হলো। যাদের পুরাতন এমআরপি পাসপোর্ট বা হাতে লিখা এনালগ পাসপোর্ট রয়েছে তারা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করব ভাবছেন। 

এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্টের আবেদন করা খুবই সহজ, আজকের এই ব্লগটি আপনি পড়লে, নিজেই এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্টে রূপান্তরের আবেদন করতে পারবেন।

শুরুতেই আপনাকে একটি টিপস দেই সেটা হচ্ছে কিভাবে ই-পাসপোর্টের আবেদন/রি-ইস্যু/কনভার্সন আপনি সহজ পাঁচটি ধাপে সম্পন্ন করতে পারেন।

কিভাবে এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্ট করবেন?

ই-পাসপোর্ট আবেদনের পাঁচটি ধাপ নিম্নরূপঃ

১ম ধাপ

  • অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম টি পূরণ করুন

বা নিজে পারলে নিকটস্থ কোনো কম্পিউটার দোকান বা সেবাকেন্দ্র থেকে ফরম টি পূর্ণ করে নিতে পারেন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র / জন্মনিবন্ধন দিয়ে।

আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য ‘এখানে’ ক্লিক করুন।

 

* সতর্কতা *

ই-পাসপোর্ট আবেদন এর পূর্বে অবশ্যই আপনার যাচাই করা উচিৎ যে, আপনার পরিচয়পত্র / জন্মনিবন্ধন এর সকল তথ্য সঠিক ও শুদ্ধ আছে কিনা। কোনো ভুল থাকলে আগেই সংশোধনের আবেদন করে নিয়ে তারপর শুরু করুন আপনার পাসপোর্ট আবেদন।

 

২য় ধাপ

  • পাসপোর্ট ফি পরিশোধ ।

পাসপোর্ট ফি ও ব্যাংক পেমেন্ট এর জন্য ক্লিক করুন ‘এখানে’ ।

পাসপোর্ট ফি প্রদান করার জন্য, আপনি ব্যাংকের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারেন অথবা অনলাইনেও ই-চালান ও এ-চালান এর মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করতে পারেন।

৩য় ধাপ

  • ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।

ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিয়েছেন কি না নিশ্চিত হোন।

৪র্থ ধাপ

  • পুলিশ ভ্যারিফিকেশন।

আপনি পাসপোর্ট অফিসে ফাইল সাবমিট করার পর, ৭ দিনের মধ্যেই সাধারণত ই-পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভ্যারিফিকেশন আসে (নতুন হলে), দুটি ঠিকানা হলে; দুই জায়গাতেই পুলিশ ভ্যারিফিকেশন যাবে।

৫ম ধাপ

  • পাসপোর্ট অফিস থেকে ই পাসপোর্ট সংগ্রহ।

# ডেলিভারী স্লিপ/রশিদ: এনরোলমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পর প্রদেয় স্লিপ  সঙ্গে অবশ্যই নিতে হবে।

# অনুমোদিত প্রতিনিধির(নিজ জাতীয় পরিচয়পত্র সাথে আনতে হবে) কাছে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়।

ই-পাসপোর্ট আবেদনের পাঁচটি ধাপ নিম্নরূপঃ

আবেদনের সকল কিছু ঠিক থাকবে – একদম রি-ইসুর মতো, কিন্তু আবেদন ফরম পূরণের সময় শুধু ID Documents এর জায়গায় – I have a Machine Readable Passport (MRP)” সিলেক্ট করে – Re-issue Reason এর জায়গায় Conversion to Epassport নির্ধারণ করবেন। এবং বাকি সব কিছুই আপনি সাধারণ রি-ইস্যু আবেদনের মতোই করবেন। 

আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানতে পারেন। তাহলে আমরা ব্লগ বা ভিডিও আকারে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল, ফেবসুক পেইজ এবং ওয়েবসাইটে পাবলিশ করবো ইনশা আল্লাহ।

ভালো লাগলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না।

আসসালামু আলাইকুম!

AUTHOR

SAIFUR RAHMAN AZIM                

is a Bangladeshi Content Creator, YouTuber, Nasshed Artist
Vlogger, Travel Film-maker, and one of the most popular 
technology-based content creators in Bangladesh.


শেয়ার করুন:

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *